একটি সিগন্যাল জ্যামার ব্যবহার করা বেশিরভাগ দেশে স্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া অবৈধ। এর প্রধান কারণ হল জ্যামারগুলি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগে (যেমন, জরুরি কল) ব্যাঘাত ঘটায় এবং পাবলিক নেটওয়ার্কের অধিকার লঙ্ঘন করে। বিশ্বব্যাপী নিয়মগুলির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ এখানে দেওয়া হলো:
· যুক্তরাষ্ট্র: এফসিসি (FCC) কঠোরভাবে জ্যামার নিষিদ্ধ করে। আইন লঙ্ঘনকারীদের ১৬,০০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা এবং কারাদণ্ড হতে পারে। ব্যতিক্রমগুলি ফেডারেল সংস্থাগুলির (যেমন, এফবিআই) মধ্যে সীমাবদ্ধ।
· ইউরোপীয় ইউনিয়ন: জ্যামারগুলির জন্য সিই (CE) সার্টিফিকেশন প্রয়োজন, তবে এগুলি সুরক্ষিত পরিবেশে (কারাগার, সামরিক ঘাঁটি) সীমাবদ্ধ। ব্যক্তিগত ব্যবহার নিষিদ্ধ।
· কানাডা: ইন্ডাস্ট্রি কানাডা সরকারি ব্যবহার ছাড়া জ্যামার নিষিদ্ধ করে। অননুমোদিত ব্যবহারের ফলে জরিমানা এবং ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়।
· অস্ট্রেলিয়া: এসিএমএ (ACMA) রেডিওযোগাযোগ আইনের অধীনে জ্যামার নিষিদ্ধ করে। ব্যতিক্রমগুলি হল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির জন্য।
বৈধ ব্যবহারের ক্ষেত্র:
যেখানে অননুমোদিত যোগাযোগ প্রতিরোধ করতে হবে সেখানে জ্যামার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়:
· কারাগার: কয়েদিদের অপরাধ সমন্বয় করতে সেল ফোন ব্যবহার করা বন্ধ করা।
· পরীক্ষার হল: বেতার ডিভাইসের মাধ্যমে প্রতারণা রোধ করা।
· সামরিক ঘাঁটি: গোপনীয় তথ্য ফাঁস হওয়া থেকে রক্ষা করা।
অবৈধ ব্যবহারের পরিণতি:
· জরিমানা: ভারী জরিমানা (যেমন, যুক্তরাষ্ট্রে ১৬,০০০ ডলার, ইইউ-তে ১,০০,০০০ ইউরো)।
· কারাদণ্ড: বারবার অপরাধীদের জন্য ফৌজদারি অভিযোগ।
· জব্দকরণ: জ্যামার এবং সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা।
অনুসরণের জন্য টিপস:
· একটি জ্যামার কেনার আগে স্থানীয় আইন পরীক্ষা করুন।
· সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে অনুমোদন নিন (যেমন, এফসিসি)।
· প্রযুক্তিগত মান পূরণ করে এমন অনুমোদিত ডিভাইস ব্যবহার করুন।
সংক্ষেপে, যদিও জ্যামারগুলির বৈধ ব্যবহার রয়েছে, তবে তাদের স্থাপন জনসাধারণের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।